স্পেসএক্সের পঞ্চম ফ্লাইট: সফলভাবে ফিরলো স্টারশিপ বুস্টার
স্পেসএক্স তাদের পঞ্চম স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে আরেকটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। রকেটের প্রথম ধাপ, "সুপার হেভি" বুস্টার, প্রথমবারের মতো টেক্সাসের লঞ্চ প্যাডে বিশাল যান্ত্রিক বাহু দিয়ে সফলভাবে ধরা হয়। এটি স্পেসএক্সের চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর অভিযানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
রবিবার সকাল ৭:২৫ মিনিটে (সেন্ট্রাল টাইম) বোকা চিকা, টেক্সাস থেকে বুস্টারটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি স্টারশিপের দ্বিতীয় ধাপকে মহাকাশে পাঠানোর পর প্রায় ৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর শুরু হয় সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ—বুস্টারটির ফিরে আসা। তিনটি র্যাপ্টর ইঞ্জিন পুনরায় চালু করে সেটিকে ধীরে ধীরে পৃথিবীতে নামানো হয়। বিশাল লঞ্চ টাওয়ারের উপরের দিকে থাকা দুটি মেটাল বাহু দিয়ে বুস্টারটি নিরাপদে ধরা হয়, যা প্রায় ৪০০ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ারের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য।
স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক পরে এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, "টাওয়ারটি রকেটকে ধরেছে!" এসময় লাইভ স্ট্রিমে স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়ারদের উল্লাস দেখা যায়। এই অভিনব কৌশলটি স্পেসএক্সের পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট তৈরির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এদিকে, স্টারশিপ দ্বিতীয় ধাপটি প্রায় ১৭,০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভারত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। প্রায় ৮৯ মাইল উচ্চতায় পৌঁছে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করে। এই সময়ে রকেটটির গরম পৃষ্ঠে তাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ১৮,০০০ তাপ-প্রতিরোধক টাইল ব্যবহার করা হয়। পূর্ববর্তী পরীক্ষার তুলনায় এইবারের টাইলগুলি আরও উন্নত করা হয়েছে, যা রকেটটিকে সুরক্ষিত পুনঃপ্রবেশে সাহায্য করে।
সমুদ্রের কাছাকাছি অবতরণের পর, স্টারশিপ একটি বিস্ফোরণে শেষ হয়। যদিও এটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ কিনা নিশ্চিত নয়, ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, "রকেটটি সঠিকভাবে অবতরণ করেছে।"
এই সফলতা স্পেসএক্সকে চাঁদ এবং মঙ্গলে মানুষের বসতি স্থাপনের স্বপ্নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।