এনভিডিয়ার শেয়ার নতুন উচ্চতায়: টেক জগতের রাজত্বে অ্যাপলকে স্থানচ্যুত করার সম্ভাবনা?

 এনভিডিয়ার শেয়ার নতুন উচ্চতায়: টেক জগতের রাজত্বে অ্যাপলকে স্থানচ্যুত করার সম্ভাবনা?

      এনভিডিয়া তাদের শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য স্পর্শ করেছে, যা অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। সোমবার কোম্পানির শেয়ার ২.৪% বেড়ে $১৩৮.০৭-এ পৌঁছেছে, যা এআই চিপের প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রবল আগ্রহের প্রতিফলন।


      সান্তা ক্লারাভিত্তিক এই চিপ নির্মাতার বাজার মূল্য এখন $৩.৩৯ ট্রিলিয়ন, যা অ্যাপলের $৩.৫২ ট্রিলিয়নের ঠিক নিচে এবং মাইক্রোসফটের $৩.১২ ট্রিলিয়নের ওপরে অবস্থান করছে। গত কয়েক মাস ধরে এই তিনটি প্রযুক্তি জায়ান্টের মধ্যে বাজার মূল্যের ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতা চলছে।


      এনভিডিয়া অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এআই প্রযুক্তি দখলের দৌড় থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। TD Cowen-এর বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে এআই খাতে বিনিয়োগ না করা বিপর্যয়কর হতে পারে, তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। তারা এনভিডিয়ার জন্য $১৬৫ মূল্য লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং কোম্পানিটিকে তাদের "শীর্ষ পছন্দ" হিসেবে বিবেচনা করছে।


      আগস্ট মাসে এনভিডিয়া নিশ্চিত করেছিল যে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ব্ল্যাকওয়েল চিপের উৎপাদন চতুর্থ প্রান্তিক পর্যন্ত বিলম্বিত হবে। তবে তারা জানিয়েছে যে গ্রাহকরা তাদের বর্তমান চিপগুলোর প্রতি আগ্রহী থাকায় এই বিলম্বের প্রভাব তেমন হবে না।


      অন্যদিকে, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের শেয়ারের মূল্যও সোমবার বেড়েছে, যা S&P 500 সূচককে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এনভিডিয়া, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট এই সূচকের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ওজন ধারণ করে, যা তাদের দৈনন্দিন উত্থান-পতনে বড় ভূমিকা পালন করে।


      এনভিডিয়ার প্রসেসর নির্মাতা তাইওয়ানের TSMC বৃহস্পতিবার তাদের চতুর্থাংশ মুনাফায় ৪০% বৃদ্ধির আশা করছে, যা এআই চিপের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রমাণ বহন করে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক বিনিয়োগ এনভিডিয়ার বার্ষিক আয়কে দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে প্রায় $১২৬ বিলিয়ন করতে পারে।


      তবে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক যে এআই প্রযুক্তিতে চাহিদা হ্রাস পেলে বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা বদলে যেতে পারে। তাই এআই খাতে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



Post a Comment

Previous Post Next Post