ইউরোপের এআই আইন: ওপেনএআই, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ
Photo:getty images |
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নতুন এআই আইন অনুযায়ী, বড় প্রযুক্তি কোম্পানির এআই মডেলগুলো নানা জায়গায় ইউরোপের নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা এবং বৈষম্যমূলক আউটপুটের মতো ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
সুইস স্টার্টআপ LatticeFlow AI এবং ETH Zurich ও বুলগেরিয়ার INSAIT-এর অংশীদারিত্বে একটি নতুন টুল তৈরি করা হয়েছে, যা বিভিন্ন এআই মডেলকে পরীক্ষা করছে। মেটা, ওপেনএআই, আলিবাবা এবং মিসট্রালের মতো বড় বড় কোম্পানির জেনারেল পারপাস এআই (GPAI) মডেলগুলো এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বেশিরভাগ মডেলই গড়ে ০.৭৫ বা তার বেশি স্কোর পেয়েছে, কিন্তু কিছু জায়গায় বড় ঘাটতি রয়ে গেছে।
বৈষম্যমূলক আউটপুটের সমস্যা_
বৈষম্যমূলক আউটপুট, বিশেষ করে লিঙ্গ, বর্ণ ও অন্যান্য সামাজিক পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন, এআই মডেলগুলোর একটি পরিচিত সমস্যা। ওপেনএআইয়ের GPT-3.5 টার্বো মডেল এই পরীক্ষায় ০.৪৬ স্কোর পেয়েছে, যা এ ধরনের মডেলের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে ইঙ্গিত করে। একই ক্যাটাগরিতে আলিবাবার Qwen1.5 মডেল পেয়েছে মাত্র ০.৩৭।
সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি_
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছিল "প্রম্পট হাইজ্যাকিং"—যেখানে হ্যাকাররা ক্ষতিকারক প্রম্পটকে বৈধ হিসেবে তুলে ধরে সিস্টেমের উপর আক্রমণ করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, মেটার Llama 2 মডেল ০.৪২ স্কোর পেয়েছে, আর মিসট্রালের মডেল পেয়েছে ০.৩৮। এই পরীক্ষাগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সাইবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে।
কঠোর শাস্তি_
ইইউর নতুন এআই আইন আগামী দুই বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে কার্যকর হবে। যারা এই আইনের নিয়ম মানতে ব্যর্থ হবে, তাদের ৩৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা বা বৈশ্বিক বার্ষিক টার্নওভারের ৭% পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। যদিও আইন প্রয়োগের সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী এখনও চূড়ান্ত হয়নি, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি কোড অব প্র্যাকটিস তৈরি করার কাজ চলছে।
এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের এআই মডেলগুলোর উন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে তাদের বিপুল অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে।