কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নির্বাচন প্রভাবিত করার অপচেষ্টা: OpenAI-এর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।
OpenAI বলছে, সাইবার অপরাধীরা ChatGPT-এর মতো AI টুল ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার তৈরির পাশাপাশি, ভুয়া কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ বছর তারা ২০টিরও বেশি এমন প্রচেষ্টা বন্ধ করেছে। আগস্ট মাসে কিছু ChatGPT অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়, যেগুলো মার্কিন নির্বাচন নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছিল। জুলাই মাসে রুয়ান্ডার নির্বাচন নিয়ে ভুয়া মন্তব্য পোস্ট করার জন্য আরও কিছু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়। তবে, এসব প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য সাড়া বা ভাইরাল হতে পারেনি বলে জানিয়েছে OpenAI।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে AI এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগও সতর্ক করেছে যে রাশিয়া, ইরান এবং চীন AI ব্যবহার করে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ভুয়া বা বিভেদ সৃষ্টিকারী তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে।
এদিকে, OpenAI গত সপ্তাহে $৬.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে ChatGPT চালু হওয়ার পর থেকে এটি প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২৫ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী অর্জন করেছে।
AI-এর অপব্যবহার এবং এর সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে, যা AI নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করছে।